Top News

একসঙ্গে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ৩ ঘূর্ণিঝড়, কিসের ইঙ্গিত?


 একসঙ্গে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ৩ ঘূর্ণিঝড়, কিসের ইঙ্গিত?

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে একই সময়ে তিনটি ক্রান্তীয় ঝড় (ট্রপিক্যাল সাইক্লোন) সক্রিয় রয়েছে। এটি স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়েছে। এমনটি এ অঞ্চলের জন্য বিরল ঘটনা। ক্রান্তীয় ঝড় রে, সেরু ও আলফ্রেড মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে সৃষ্টি হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত প্রশান্ত মহাসাগরের একটি অংশে ঘূর্ণায়মান রয়েছে এই তিন ঝড়। বর্তমানে এই অঞ্চলে ঝড়ের মৌসুম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানি-এর বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ব্রায়ান ট্যাং বলেন, ‘এটি অবশ্যই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জন্য ব্যস্ত সময় এবং তিনটি ট্রপিক্যাল সাইক্লোন একসঙ্গে দেখা সত্যিই বিরল ঘটনা।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, এটি একেবারে নজিরবিহীন নয়।

‘ট্রপিক্যাল’ শব্দের অর্থ ক্রান্তীয় অঞ্চলের সঙ্গে সম্পর্কিত, অর্থাৎ এটি নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছাকাছি গরম ও আর্দ্র এলাকায় সৃষ্টি হয়। ‘সাইক্লোন’ শব্দের অর্থ ঘূর্ণিঝড়, যা কম বায়ুচাপের কারণে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিবাতাসকে বোঝায়। এটি সাধারণত উষ্ণ সমুদ্রের ওপর তৈরি হয় এবং প্রচণ্ড বাতাস, ভারী বৃষ্টি এবং শক্তিশালী ঢেউ সৃষ্টি করে।

এর আগে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে একই সঙ্গে তিনটি ঘূর্ণিঝড়— লুকাস, আনা ও বিনা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে সক্রিয় ছিল, বলেন ট্যাং।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের বাসিন্দারা বিশেষভাবে আলফ্রেড-এর গতিপথ নিয়ে উদ্বিগ্ন। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) এটি সৃষ্টি হয় এবং রাতারাতি তৃতীয় ক্যাটাগরির শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এর ফলে কোরাল সাগরে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে বাতাসের ঝাপটা সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে কি না বা স্থলভাগে আঘাত হানবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

রে গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ফিজির উত্তরে সৃষ্ট হয় এবং প্রবল বাতাস ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ফলজ গাছের ক্ষতি করেছে বলে স্থানীয় প্রতিবেদনে জানা গেছে।

এদিকে, সেরু মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং এটি ভানুয়াতুর কাছাকাছি দিয়ে অতিক্রম করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব: বৈশ্বিক জলবায়ু সংকটের ফলে বিশ্বের মহাসাগরে তাপমাত্রা বেড়েছে, যা ট্রপিক্যাল সাইক্লোন সৃষ্টির অন্যতম কারণ।২০২৪ সালে মহাসাগরের তাপমাত্রা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সামগ্রিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা না বাড়লেও তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় (উচ্চ ক্যাটাগরির) আগের তুলনায় বেশি এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, এগুলো স্থলভাগে ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে, ফলে ধ্বংসাত্মক প্রভাব আরও তীব্র হচ্ছে।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post