রমজান মাসে সেহরি–ইফতারে যা যা খেলে সুস্থ থাকবে শরীর

 

রমজান মাসে সেহরি–ইফতারে যা যা খেলে সুস্থ থাকবে শরীর

শুরু হচ্ছে রমজান মাস। রমজান মাসে রোজা রাখার কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। দিনের শেষে রোজাদাররা ইফতার করেন। ইফতারে নানা পদের মধ্যে খাবার খাওয়া হয়।এ কথা ঠিক যে, সারাদিন রোজা রাখার পর রোজার ভাঙার পর ক্লান্ত হয়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। কারণ রোজা রাখলে দিনের প্রায় ১৪-১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। দীর্ঘ সময়ের পর রোজা ভাঙার পর আবার যা ইচ্ছা তা খাওয়া যায় না। আসুন জেনে নিন রোজার মাসে সুস্থ থাকার কিছু উপায়। ১. রমজান মাসে সেহরির খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রোজার রাখা থেকে শুরু করে ইফতার পর্যন্ত শরীরে এনার্জি ধরে রাখতে এই সময়কার খাবার উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। শারীরিক সুস্থতায় সেহরিতে হালকা খাবার খেতে পারেন। এই সময় সবজি, লাল চালের ভাত বা গমের রুটি, প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, মাছ বা ডিম খেতে পারেন।

২. আবার সেহরিতে শস্যযুক্ত খাবারও খেতে পারেন। এসব খাবার ধীরে ধীরে হজম হবে ও সারা দিন এনার্জি দেবে। এক বাটি ডাল, এক কাপ সবজি, ডিম বা মাছ অথবা মাংসের পদ সেহরিতে রাখতে পারেন।

৩. ইফতারে খেজুর না থাকলে টেবিলের পরিপূর্ণতা আসে না। রোজাদাররা ইফতারের শুরুতে খেজুর খান। এরপর পানি পান করেন। খেজুর ফাইবারের ভালো উৎস। যা হজম প্রক্রিয়ার কাজ সহজ করে। খেজুর গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজের মতো প্রাকৃতিক শর্করাতে সমৃদ্ধ, যা রোজা রাখার পরে খেলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

৪. ইফতার আর সেহরিতে বেশি চিনি যুক্ত খাবার, যেমন: পেস্ট্রি কেক, মিষ্টি, ফিরনি, পায়েস, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

৫. ইফতারে প্রতিদিন বিরিয়ানি, কাচ্চি ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। বেশি তেল, চর্বি ও ভাজাপোড়া খাবার শরীরের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে বরং স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার দিয়ে ইফতার, সেহরির খাবার খান। ইফতারে বাসায় তৈরি করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

৬. ইফতার ও সেহরিতে পানি পান করুন বেশি করে। এ সময় ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন। পানি ছাড়া অন্যান্য তরল খাবার যেমন স্যুপ, সবজি বা ফল খেতে পারেন।

৭. সেহরি ও ইফতারিতে খাবার ধীরে ধীরে খান। খাবার খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করা করবেন না। কারণ একসঙ্গে বেশি খাবার খেলে বুক জ্বালা, বদহজমের সমস্যা হতে পারে।

৮. ইফতারে চা-কফি বা ক্যাফেইনযুক্ত খাবার যত কম রাখবেন, তত ভালো। ইফতার থেকে সাহরি পর্যন্ত চা-কফির বদলে হারবাল চা খেতে পারেন।

৯. ইফতারিতে অনেকে প্রচুর পরিমাণে ফল খেয়ে থাকেন। কিন্তু সারাদিন রোজা রেখে খালি পেটে বা অনেক খাবার খেয়ে ভরা পেটে ফল খেলে তা অ্যাসিডিটি তৈরি করতে পারে। তাই ভিন্ন ভিন্ন দিনে ভিন্ন ভিন্ন ফল দিয়ে ইফতারে করতে পারেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post