ডাকাত সন্দেহে পুলিশ কর্মকর্তা আটক, অতঃপর...

ডাকাত সন্দেহে পুলিশ কর্মকর্তা আটক, অতঃপর...

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফিরোজ রানা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সাদা পোষাকে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে ডাকাত সন্দেহে জনতার হাতে আটক হয়েছেন।

পরে অতিরিক্ত পুলিশের সাহায্যে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত (ক্লোজড) করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিযনের ৮ নং ওয়ার্ডের হোসেনডাঙ্গা রেলগেইট এলাকায় ৩ জন সোর্স সাথে নিয়ে মাদক উদ্ধার করতে যান সদর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ফিরোজ রানা। তারা অন্ধকারের ভেতর সড়কে আসা একটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দিলে মোটরসাইকেল আরোহিরা ভয় পেয়ে না থেমে পাশের হোসেনডাঙ্গা মোড়ে এসে গ্রামবাসীকে ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা রেলগেটে অবস্থান নিয়েছে মর্মে জানায়। এতে হোসেনডাঙ্গা মোড়ে তারাবির নামাজের পর জড়ো হওয়া মানুষ এগিয়ে গিয়ে ওই ৪ জনকে চ্যালেঞ্জ করলে ৩ সোর্স অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। তবে উত্তোজিত জনতার হাতে আটক হন এএসআই ফিরোজ রানা। পরে ফিরোজ রানা নিজের পরিচয়পত্র দেখালে স্থানীয়রা তাঁকে আটক করে সদর থানায় খবর দেয়। প্রায় ঘণ্টাখানেক আটক থাকার পর সদর থানার অফিসার ইনচার্জসহ (ওসি) অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসীর হাত থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, ওই এএসআই নিজ অধিক্ষেত্রের বাইরে বিনা পোষাকে উর্ধ্বতণ কোনো কর্মকর্তাকে না জানিয়ে মাদক উদ্ধারে যান। যা উচিত হয়নি এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী।  ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার হয়ে তিনি নিজ কাজ বাদ দিয়ে এ ধরণের অভিযানে যেতে পারেন না।

এ অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬মার্চ) তাঁকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান লূৎফল হাসান ও গ্রাম পুলিশ মোশারফ হোসেন বলেন, এলাকায় গরু চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধে জনগণ আতংকিত। তাঁরা এলাকায় অপরিচিতদের তৎপরতা দেখে সন্দেহবশত ওই পুলিশ সদস্যকে আটক করে। পরে তাঁকে ওসির জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post