ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর যেভাবে গ্রেফতার

 


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ঘুমন্ত পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর আহসান উল্যাহকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গৃহবধূকে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।আজ সোমবার ভিকটিম গৃহবধূ থানায় মামলা করলে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করলে আদালত তাকে জেলে প্রেরণ করে।


এর আগে, গত সোমবার রাত সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ পেয়ে শনিবার ১৫ মার্চ রাতে উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আহসান উল্যাহ (৫৫) একই ওয়ার্ডের মৃত আলী আহামদের ছেলেভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী দুবাই প্রবাসী। তিনি তার এক সন্তান নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে একই বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে বসবাস করতেন। শ্বশুর আহসান উল্যাহ বিভিন্ন সময় পুত্রবধূকে কুরুচিপূর্ণ কথাসহ খারাপ কাজের ইঙ্গিত দেয়। ভিকটিম বিষয়টি স্বামী ও শাশুড়িকে জানালেও তারা কর্ণপাত করেনি।রোববর দিবাগত রাত ১০টার দিকে গৃহবধূ প্রতিদিনের ন্যায় নিজের কক্ষে কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। সেহেরি খাওয়ার পূর্বে শ্বশুর কৌশলে পুত্রবধূর কক্ষে প্রবেশ করে। ওই সময় তিনি পুত্রবধূকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে শ্বশুর তার মুখ চেপে ধরে, ধর্ষণ করে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বিষয়টি তার স্বামী-শাশুড়িকে জানায়।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদী হয়ে এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ওই মামলায় শ্বশুরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।অন্যদিকে, গৃহবধূকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং তার মেডিকেল করা হয়েছে।।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post