বিয়ামের বিস্ফোরণকে বোমা হামলা বলছে বিএনপি
রাজধানীর বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ সমিতির (বিয়াম ফাউন্ডেশন) ভবনে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যুর ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির দাবি, ভবনটিকে বোমা হামলা করা হয়। অবশ্য এ ঘটনায় নিহত অফিস সহকারী আব্দুল মালেক খানের পরিবারের দাবি, এসি বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মোঃ তাইফুল ইসলাম টিপুর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত পরশু রাতে নিউ ইস্কাটন রোডস্থ বিসিএস প্রশাসন কল্যাণ সমিতির ভবনে দুস্কৃতিকারীদের দ্বারা সংঘটিত কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক বোমা হামলায় একজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত শুক্রবার ভোরে বিয়াম ফাউন্ডেশন ভবনে বিস্ফোরণে সমিতিটির কর্মচারী আব্দুল মালেক খান (৪০) নিহত হন। এই ঘটনায় দগ্ধ হন মো. ফারুক (৩০) নামের আরেক জন। তারা রাতে ভবনটিতেই থাকতেন। আব্দুল মালেক খানের ভাই সোহেল খান শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ভাই বিয়াম ফাউন্ডেশনে অফিস সহকারী হিসেবে কাজ করত। রাতে তিনি অফিসেই ঘুমান। রাতে কোনো একসময় কক্ষের এসি বিস্ফোরিত হয়ে গুরুতর আহত হন আমার ভাই। খবর পেয়ে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।’ জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিন রহমানও এ ঘটনাকে এসি বিস্ফোরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিসিএস প্রশাসনের কল্যাণ সমিতিতে এই ধরনের বোমা হামলার ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছি। এ ধরণের হামলা প্রমাণ করে যে, দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কত অবনতি ঘটেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠীর পতনের পর দুস্কৃতিকারীরা আবারও দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিসহ নৈরাজ্যের মাধ্যমে ফায়দা হাসিলের অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের হামলা এবং হতাহতের ঘটনা সেই অপতৎপরতারই বহিঃপ্রকাশ। এসব দুস্কৃতিকারীদের কঠোর হস্তে দমনের বিকল্প নেই। আমরা আশা করব, অতিদ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হবে। গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশের মানুষের জানমাল রক্ষায় দল, মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
Post a Comment