পায়খানার রাস্তার লোম কাটা কি জায়েজ? ইসলাম কী বলে?
পায়খানার রাস্তার লোম কাটা ইসলামে জায়েজ এবং মুস্তাহাব (পছন্দনীয় কাজ)। এটি পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে শারীরিক পরিচ্ছন্নতাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং একে ফিতরাত (স্বাভাবিক প্রকৃতি)-এর অংশ বলে গণ্য করা হয়।
হাদিসের নির্দেশনা:
বিভিন্ন হাদিসে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাভির নিচের পশম পরিষ্কার করার কথা বলেছেন। যদিও সরাসরি পায়খানার রাস্তার লোমের কথা উল্লেখ নেই, তবে "নাভির নিচের পশম" বলতে এই এলাকার লোমও অন্তর্ভুক্ত বলে বোঝানো হয়।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন:
> "আমাদের জন্য গোঁফ ছাঁটা, নখ কাটা, বগলের লোম উপড়ানো এবং নাভির নিচের লোম মুণ্ডানোর সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, চল্লিশ দিনের বেশি যেন না হয়।" (সহীহ মুসলিম)
>
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, এই কাজগুলো নিয়মিত করা উচিত এবং চল্লিশ দিনের বেশি দেরি করা অনুচিত।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব:
* শারীরিক স্বাস্থ্য: পায়খানার রাস্তার লোম পরিষ্কার রাখলে মলমূত্র লেগে থাকার সম্ভাবনা কমে যায়, যা বিভিন্ন চর্মরোগ এবং ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
* দুর্গন্ধ দূরীকরণ: লোম থাকলে ময়লা জমে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে, যা পরিষ্কার রাখলে দূর হয়।
* ইবাদতের জন্য পরিচ্ছন্নতা: ইসলামে ইবাদতের জন্য পবিত্রতা অপরিহার্য। শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে মনও ফুরফুরে থাকে এবং ইবাদতে মনোযোগ আসে।
লোম পরিষ্কারের পদ্ধতি:
পায়খানার রাস্তার লোম পরিষ্কারের জন্য কাঁচি দিয়ে কাটা, শেভ করা বা লোমনাশক ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে কিছু আলেম শেভ করাকে উত্তম বলেছেন। উপড়ানো কষ্টকর হওয়ায় সাধারণত তা নিরুৎসাহিত করা হয়, তবে ক্ষেত্রবিশেষে জায়েজ আছে।
সংক্ষেপে, পায়খানার রাস্তার লোম পরিষ্কার করা ইসলামে কেবল জায়েজই নয়, বরং সুন্নাহসম্মত এবং পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে অত্যন্ত পছন্দনীয় কাজ।
Post a Comment