রাতে ঘুমাতে গেলেই ভয়ংকর চুলকানি, এটার ঘরোয়া সমাধান বলুন
রাতে ঘুমাতে গেলেই ভয়ংকর চুলকানি হলে এটি অনেক কারণেই হতে পারে—যেমন ত্বকের শুষ্কতা, অ্যালার্জি, একজিমা, স্ক্যাবিস (খোস-পাঁচড়া), বা দেহে পরজীবীর সংক্রমণ (যেমন উকুন বা ফাঙ্গাস)। তবে আপনি যদি প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া সমাধান চান, তাহলে নিচের কিছু উপায় চেষ্টা করতে পারেন:
✅ ঘরোয়া সমাধান:
১.
নারকেল তেল + কর্পূর মিশ্রণ:
- ১ টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেলে আধা চামচ কর্পূর মিশিয়ে নিন।
- প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে আক্রান্ত স্থানে লাগান।
- এটি ঠাণ্ডা অনুভূতি দিয়ে চুলকানি কমায় এবং জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে।
২.
ওটমিল (Oatmeal) স্নান:
- ১ কাপ কলয়েডাল ওটমিল (গুঁড়া ওটস) হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে গোসল করুন।
- এটি ত্বক ঠাণ্ডা করে এবং এলার্জি/একজিমার চুলকানি কমায়।
৩.
বেসন + দই প্যাক:
- বেসন ও টক দই মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
- এটি ত্বক ঠাণ্ডা করে ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
৪.
এলোভেরা জেল:
- ফ্রেশ অ্যালোভেরা পাতার জেল আক্রান্ত স্থানে লাগান।
- এটি ত্বকের জ্বালা, লালভাব ও চুলকানি কমায়।
৫.
শরীরে ঠান্ডা রাখুন:
- অতিরিক্ত গরমে ঘাম হলে চুলকানি বাড়ে, তাই ঘুমানোর সময় হালকা পাতলা জামা পরুন, কটন বেডশিট ব্যবহার করুন।
⚠️ কখন ডাক্তার দেখানো উচিত:
- যদি চুলকানির সাথে লাল ফুসকুড়ি, র্যাশ, ফোড়া বা পানিযুক্ত দানা হয়
- যদি পুরো শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে
- যদি পরিবারের অন্য সদস্যদেরও হয় (স্ক্যাবিস হলে এমন হয়)
- যদি ঘরোয়া উপায়ে ৩–৫ দিনের মধ্যে উন্নতি না হয়
চুলকানি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা আগের চেয়ে বাড়তে থাকলে অবশ্যই একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ (Dermatologist) এর পরামর্শ নিন।
আপনি চাইলে আমাকে চুলকানির ধরন বা ছবি দিলে আমি আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে পারব এটা আসলে কোন ধরনের সমস্যা হতে পারে।
Post a Comment