মাসিক বা পিরিয়ড মিস হওয়ার পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে সবচেয়ে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়। সাধারণত, পিরিয়ড মিস হওয়ার অন্তত ৭ দিন পর টেস্ট করা ভালো।
তবে কিছু প্রেগন্যান্সি কিট মাসিক মিস হওয়ার প্রথম দিনই ফলাফল জানাতে পারে। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে ভুল ফলাফল (ফলস নেগেটিভ) আসার সম্ভাবনা থাকে, কারণ তখন শরীরে hCG (হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন) হরমোনের মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণে নাও থাকতে পারে। এই হরমোন গর্ভাবস্থায় তৈরি হয়।
সঠিক ফলাফলের জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে পারেন:
* সকালবেলা পরীক্ষা: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম প্রস্রাব দিয়ে টেস্ট করা সবচেয়ে ভালো। কারণ এ সময় প্রস্রাবে hCG হরমোনের ঘনত্ব বেশি থাকে।
* কিটের নির্দেশাবলী: প্রতিটি টেস্ট কিটের নির্দেশাবলী ভালোভাবে পড়ে সে অনুযায়ী পরীক্ষা করা জরুরি।
* অনিয়মিত পিরিয়ড: যদি আপনার মাসিক চক্র অনিয়মিত হয়, তাহলে শেষ অরক্ষিত সহবাসের ২১ দিন পর টেস্ট করা নিরাপদ।
যদি টেস্টের ফলাফল নেগেটিভ আসে কিন্তু আপনার পিরিয়ড শুরু না হয়, তাহলে কয়েকদিন পর আবার পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। যদি তারপরও নেগেটিভ আসে এবং আপনার গর্ভাবস্থার লক্ষণ থাকে, তবে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Post a Comment