Top News

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ওঠা কি নেককার হওয়ার লক্ষণ?

নামাজ পড়তে পড়তে কপালে দাগ ওঠা কি নেককার হওয়ার লক্ষণ?





আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধু তাঁর ইবাদতের জন্য। আর ইবাদতের শ্রেষ্ঠতম রূপ হলো নামাজ। নামাজ শুধু ব্যক্তিগত নয়, বরং সামাজিক ও আধ্যাত্মিক জীবনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ অর্থাৎ, নামাজ ছাড়া ধর্মের ভিত্তি গড়ে ওঠে না।



রাসুল (সা.)-এর ভাষায়, ‘আমার চোখের স্নিগ্ধতা বা প্রশান্তি রয়েছে নামাজে।’ এ থেকেই বোঝা যায়, নামাজ শুধু শরীয়তের বিধান নয়, বরং তা একজন মুমিনের আত্মিক প্রশান্তির উৎস।


পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তুমি সূর্য হেলার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামাজ কায়েম কর এবং ফজরের নামাজ (কায়েম কর)। নিশ্চয়ই ফজরের নামাজে সমাবেশ ঘটে।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : ৭৮)


আরও পড়ুনঃ মধ্যরাতে জামায়াত আমীরকে নিয়ে সারজিস আলমের ফেসবুক পোস্ট

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলছেন,‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে’ (সুরা আনকাবুত : ৪৫)। অর্থাৎ, প্রকৃত নামাজি সব ধরনের অশ্লীলতা ও অনৈতিকতা থেকে নিজেকে দূরে রাখেন।


তাই পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া বিধানগুলোর মধ্যে নামাজের মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। আর নামাজের মর্যাদা যেমন বেশি, তেমনই নামাজি ব্যক্তির মর্যাদাও বেশি।


আমাদের আশপাশের অনেক নামাজি ব্যক্তির কপালে কালো দাগ দেখা যায়। এটা বেশি বেশি সিজদা দেওয়ার কারণে হতে পারে আবার অন্যকোনো কারণেও হতে পারে। কিন্তু অনেকে মনে করেন, ‘নামাজি ব্যক্তির কপালে কালো দাগ হওয়া নেককার লোকের লক্ষণ।’ তাদের দাবি, ‘যাদের কপালে কালো দাগ হয় না তারা খুব একটা ভালো না। মুত্তাকি বা পরহেজগার না।’


আরও পড়ুনঃ সন্তানদের অনুরোধে আত্মহননের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন হিরো আলম

চলুন, জেনে নিই শরিয়তে এই দাবির কোনো ভিত্তি আছে কি না—


প্রখ্যাত ইসলামী স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ জানান, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে তার প্রিয় বান্দাদের প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের সিজদার আলামত তাদের চেহারায় ফুটে ওঠে। (সুরা ফাতাহ : ২৯)


এই আলামত বলতে আসলে কী বোঝায়— এমন প্রশ্নের উত্তরে আহমাদুল্লাহ বলেন, কিছু মুফাসসির তাফসিরের কিতাবে কপালের দাগকেই এই আলামত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তবে বেশিভাগ মুফাসসিরগণ বলেছেন, এই আলামত বলতে খুশু-খুজু, চেহারার নুরানিয়্যাত এবং উজ্জ্বলতাকে বোঝায়।


আরও পড়ুনঃ ‘চাঁদাবাজি নিয়ে পোস্ট’— বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীর ওপর এনসিপির হামলা

তিনি দাবি করেন, কেয়ামতের দিনে অজুর অঙ্গগুলো যেমন ঝলঝল করে জ্বলতে থাকবে, তেমনই সেজদার অঙ্গগুলোও জ্বলতে থাকবে। উল্লিখিত আয়াতে সেই আলামতের কথাই বোঝানো হয়েছে।


কাজেই সিজদা দিতে দিতে যদি কারো কপালে দাগ হয়ে যায়, এটা তার জন্য ভালো। কিন্তু এর মানে এই না, কপালে কালো দাগওয়ালা ব্যক্তিই কেবল মুত্তাকি। আর বাকিরা খারাপ, ফাসিক। বরং অনেক মুত্তাকি লোক রয়েছেন, যারা অসংখ্য-অগণিত নামাজ পড়েও কপালে দাগ হয় না।

Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post