Top News

স্ত্রী যদি অক্ষম হয় তাহলে স্বামীর কি করা উচিত



ইসলামে স্ত্রীর অক্ষমতার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা আছে, যা একজন স্বামীর জন্য অনুসরণ করা জরুরি। ইসলামে সন্তান লাভকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ এবং পরীক্ষা হিসেবে দেখা হয়।

স্ত্রীর প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল হওয়া

ইসলামে একজন স্বামীর প্রধান দায়িত্ব হলো স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতিশীল ও দয়ালু হওয়া। অক্ষমতার কারণে স্ত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। এই সময় স্বামী তাকে মানসিক সমর্থন দেবেন, ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকবেন এবং কোনো অবস্থাতেই তাকে অবজ্ঞা বা অবহেলা করবেন না। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, "আর তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর। যদি তোমরা তাদের অপছন্দ কর, তবে হতে পারে তোমরা এমন কিছুকে অপছন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহ প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন।" (সূরা নিসা, আয়াত ১৯)।

চিকিৎসার চেষ্টা করা

ইসলামে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ মুক্তির চেষ্টা করার অনুমতি রয়েছে। বন্ধ্যাত্বের সমস্যার সমাধানে আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি, যেমন IVF বা IUI, যদি শরিয়তের বিধানের মধ্যে থাকে (অর্থাৎ, এর জন্য তৃতীয় কোনো ব্যক্তির শুক্রাণু বা ডিম্বাণু ব্যবহার করা না হয়), তাহলে তা গ্রহণ করা জায়েজ। তবে, সন্তান যদি চিকিৎসা বা অন্য কোনো উপায়ে না হয়, তাহলে আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নেওয়া ঈমানের অংশ।

সন্তান দত্তক নেওয়া

ইসলামে কোনো এতিম, অসহায় বা অবহেলিত শিশুকে লালন-পালন করার অনুমতি আছে এবং এটি অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। তবে, দত্তক বা পালক সন্তানের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে:

 * বংশ পরিচয়: পালক সন্তানের আসল পিতৃপরিচয় গোপন করা যাবে না। তাকে তার আসল বাবা-মায়ের পরিচয়েই বড় করতে হবে।

 * মিরাসী সম্পত্তি: পালক সন্তান আসল সন্তানের মতো স্বামীর সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে না। তবে স্বামী যদি তাকে কিছু দান করে যেতে চান, তাহলে তা করতে পারেন।

 * পর্দা: পালক সন্তান সাবালক হলে তার সঙ্গে পর্দার নিয়ম মেনে চলতে হবে, যদি সে দুধের সম্পর্কের কারণে মাহরাম না হয়।

পুনরায় বিবাহ

যদি কোনোভাবেই সন্তান না হয় এবং স্বামী সন্তানের জন্য খুব আগ্রহী হন, তাহলে ইসলাম তাকে দ্বিতীয় বিবাহ করার অনুমতি দেয়। তবে এই ক্ষেত্রে স্ত্রীকে অবহেলা না করে তার সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দরভাবে বজায় রাখতে হবে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বোঝাপড়া করা উচিত, যাতে তার অধিকার ক্ষুন্ন না হয়।

ইসলামী শরিয়তে এসবের মাধ্যমে একজন স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে এবং একই সঙ্গে সন্তানের আকাঙ্ক্ষা পূরণের চেষ্টা করতে পারে।


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post