আশেক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত কিনা।
আপনার সাথে কি কি মিলে দেখে নিন।
আশিক বা লাভার জ্বিন হচ্ছে সেই সমস্ত জ্বিন যারা পুরুষ ও নারীদের শারীরিক বা মানসিক কিংবা উভয় ভাবে পছন্দ করে নিজের যিনার চাহিদা পূরনের জন্য নারী/পুরুষদের শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে ও কষ্ট দেয়। আরো সহজে বললে রোগীর শরীরে অবস্থান করে জ্বিন নিজে ব্যভিচার তথা যিনায় লিপ্ত হয় এবং ব্যক্তিকে যিনায় লিপ্ত হতে বাধ্য করে।
আপনি যেভাবে বুঝবেন, আপনি আশিক জিন দ্বারা আক্রান্ত কিনা
=============================================================================
১. স্বপ্নদোষের সময় অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হওয়া। অনেক সময় যাদুর প্রভাবেও অতিরিক্ত সপ্নদোষ হয়। নারী পুরুষ উভয়ের হয়।
২. জেগে থাকা অবস্থায় ব্যক্তি শুয়ে থাকে কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য শরীর অবশ হয়ে যায় বিশেষ করে হাত ও পা। আর জ্বীন যখন তার সংগে ব্যভিচারে করে সেটা ব্যক্তি কখনো কখনো বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে ডাক দেওয়া বা কিছু করার উপায় থাকেনা। তবে সব সময় যে বুঝা যাবে সেটাও না। তবে কিছু না কিছু সূত্র থাকবে।
৩. জাগ্রত অবস্থায় জ্বীন জেনা করতে পারে এবং এই সময় জ্বীনকে রোগি দেখতেও পারে, নাও দেখতে পারে। তবে অনুভব হয়। ব্যাপারটা অনেকটা হেলুসিনেশন এর মত হতে পারে।
৪. কোন জ্বীন যদি কোন মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার উদ্দ্যেশেই পজেস করে তাহলে নারীর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় দাগ থাকে,এই দাগ মাঝে মাঝেই মেয়ের শরীরে দেখা যায়,শারীরিক সম্পর্ক না হলেও এরকম দাগ দেখা যাবে,লাল দাগ, খামচি বা কামড়ের দাগ, বিশেষ করে গলা, পিঠে, ঘাড়ে এবং লজ্জা স্থানসমূহ এবং লজ্জাস্থান ব্যথা, ফুলে যাওয়া , অসময়ে পিরিয়ড হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
৫. কোন জ্বীন যদি কোন পুরুষ বা নারীকে পছন্দ করে তখন ওই জ্বীন সবসময় ভিকটিমের আশেপাশে থাকে, যখন ঘুমায় তখন আসে, ঘুমের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করে, ভিকটিম তখন বাস্তবতা অনুভব করতে পারে কিন্তু কাউকে দেখে না ও বলার মতো অনুভূতি শক্তি থাকেনা।
৬. আশিক জ্বিন দ্বারা আক্রান্ত হলে সেই সকল নরনারীর দের স্মৃতি শক্তি কমে যায়।
৭. খাওয়ার অনিহা সৃষ্টি হয়।
৮. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ও অল্পেই খুব রেগে যায়।
৯. আত্মকেন্দ্রিক ঘরকুনো হয়ে যায়। এরা আস্তে আস্তে খুব অলস প্রকৃতির মানুষ হয়ে যায়।
১০. পড়াশোনার প্রতি, ইবাদাতের প্রতি, পরিবারে প্রতি অমনোযোগী হয়ে যায়। আল্লাহ তা'য়ালার জিকির ও কুরআন তিলাওয়াতের প্রতি তাদের মনে প্রখর অনিহা থাকে।
১১. অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা পছন্দ করে। এধরনের ব্যক্তিরা ঘুমাতে খুব পছন্দ করে, কারন সে যখনই ঘুমায় জিন তার খারাপ উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত করার সুযোগ পায়।
১২. পুরুষ জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত মেয়েরা সাধারণত পুরুষদের পছন্দ করেনা, তবে মহিলা জিন (পেত্নী) দ্বারা আক্রান্ত ছেলেরা মেয়েদের প্রতি আকর্যণ বেরে যায়
১৩. একাকী থাকতে পছন্দ করে ও অগোছালো থাকতে বেশি পছন্দ করে।
১৪. বিবাহিত মেয়েরা স্বামী থেকে দুরে থাকতে পছন্দ করে কোন কারন ছাড়াই। পুরুষ হলে নারী আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে অথবা নারীদের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় কিন্তু নারীদের এড়িয়ে চলে না।
১৫. জাগ্রত অবস্থায় ( হস্তমৈথুনের মাধ্যমে) নারী, পুরুষ উভয়ই একি রকম, এসময় জ্বীন রোগির হাত,মস্তিষ্ক পজেস করে ইন্দ্রিয়তৃপ্তি লাভ করে, এটা তখনই বোঝা যাবে যখন কেউ আগে থেকেই গুপ্ত অভ্যাসে লিপ্ত ছিলকিন্তু তা অল্প পরিমানে,হঠাৎ করে যদি মাত্রাতিরিক্ত ভাবে যৌন চাহিদা বেড়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আশিক জ্বীনের কাজ এটা। তবে বশীকরণ বা আসক্তকারি বা অনুগত যাদুর লক্ষন হচ্ছে, স্ত্রী বা স্বামীর সংগে সহবাসের ঘন ঘন ইচ্ছা জাগা, কিন্তু যারা অবিবাহিত তারা যদি আশিক জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে তাদের যৌন উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় আশিক জ্বীন, ফলে যুবক যুবতীরা হারামে লিপ্ত হয়।
১৬. জ্বীন মানুষের সঙ্গে মিলনের সময় যৌনাঙ্গে গরম বাতাসের মত অনুভূত হয়, জ্বীনরা সঙ্গম করে,তাই এই সঙ্গমের পরে মেয়েরা দুর্বল হয়ে যায় খুব, ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়, শরীরে অনেক ব্যথা অনুভব করে, এসব লক্ষণ নারী পুরুষ সকলের অনুভব হয়।
১৭. অবিবাহিত মেয়ের সাথে জ্বীন শারীরিক সম্পর্ক করলে সেই মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে শুধু অনিহা প্রকাশ করে,আর বিবাহিত মেয়ের সাথে এরকম কিছু হলে সেই মেয়ে স্বামীর সাথে মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর পুরুষের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে।
১৮. সমকামিতা, পেডোফাইল, মাত্রা অতিরিক্ত পর্নো আসক্তি আশিক জ্বিনের অন্যতম লক্ষণ
১৯. আশিক জিনে আক্রান্ত ব্যক্তি মাঝেমধ্যে সারাক্ষণই sexual ব্যাপার গুলো কল্পনা করতে থাকে। আরা একারনেই তারা Masturbation এর প্রতি অতি উৎসাহিত হয়ে পরে।
যদি আপনার সাথে এই লক্ষণগুলো মিলে যায় তাহলে কুফুরী শিরকি তাবিজ তদবির বাদ দিয়ে আপনি রুকিয়া করান, ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে
Post a Comment