ইসলামে যে ১৪ ধরনের নারীকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ বা হারাম, সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখানে আলোচনা করা হয়েছে। এই ১৪ ধরনের নারীর তালিকা কুরআন ও হাদিসের আলোকে তৈরি করা হয়েছে। প্রধানত এই নারীদেরকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. বংশগত কারণে নিষিদ্ধ (বংশীয় সম্পর্ক):
* মা: নিজের গর্ভধারিণী মাকে বিয়ে করা চিরতরে হারাম।
* দাদি, নানি: মা ও বাবার দিকের সকল নানি ও দাদি।
* কন্যা: নিজের ঔরসের কন্যাকে বিয়ে করা।
* নাতনি (ছেলের মেয়ে), নাতনি (মেয়ের মেয়ে): নিজের সকল নাতনিকে বিয়ে করা।
* বোন: আপন, বৈমাত্রেয় (বাবা এক, মা ভিন্ন) এবং সৎ বোন (মা এক, বাবা ভিন্ন) উভয় ধরনের বোনকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
* ফুফু: বাবার বোনকে বিয়ে করা হারাম।
* খালা: মায়ের বোনকে বিয়ে করা হারাম।
* ভাইয়ের মেয়ে ও ছেলের মেয়ে (ভাতিজি): আপন ভাই, বৈমাত্রেয় ভাই ও সৎ ভাইয়ের মেয়ে।
* বোনের মেয়ে ও ছেলের মেয়ে (ভাগ্নি): আপন বোন, বৈমাত্রেয় বোন ও সৎ বোনের মেয়ে।
২. বৈবাহিক ও দুধপানের কারণে নিষিদ্ধ (বিবাহ ও দুগ্ধ সম্পর্ক):
* শ্বাশুড়ি: কোনো নারীকে বিয়ে করার পর তার মাকে বিয়ে করা চিরতরে হারাম।
* স্ত্রীর পূর্ববর্তী স্বামীর কন্যা (সৎ মেয়ে): স্ত্রীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর তার পূর্ববর্তী স্বামীর কন্যাকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
* ছেলের স্ত্রী (পুত্রবধূ): নিজের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম।
* দুধ-মা (দুধ সম্পর্কীয় মা): যে নারী কোনো পুরুষকে শৈশবে দুধ পান করিয়েছেন, তিনি তার দুধ-মা এবং তাকে বিয়ে করা হারাম।
* দুধ-বোনেরা: দুধ-মার সকল কন্যা অর্থাৎ দুধ-ভাই ও বোনদেরকে বিয়ে করা হারাম।
সংক্ষেপে, এই ১৪ প্রকার নারী হলো: মা, নানি-দাদি, মেয়ে, নাতনি, বোন, ফুফু, খালা, ভাতিজি, ভাগ্নি, শাশুড়ি, পুত্রবধূ, দুধ-মা, দুধ-বোন, এবং সহবাসের পর স্ত্রীর পূর্ববর্তী স্বামীর কন্যা (সৎ মেয়ে)। এই সম্পর্কের নারীদেরকে বিয়ে করা ইসলামে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
Post a Comment