যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

ঠিকাদারের কাছে চাঁদা চাওয়া সেই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের কাজ চলাকালে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি করা ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর রাতেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একে ফজলুল হক তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার আবদুর রহিম মৌকরা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি নাঙ্গলকোট উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা আবদুল গফুর ভূঁইয়ার অনুসারী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের ব্রিজ নির্মাণ কাজের ঠিকাদার একরাম হোসেনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে যুবদল নেতা আবদুর রহিম। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার তার লোকজনকে মারধরও করেন তিনি। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ বুধবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুবদল নেতা আবদুর রহিম রাত সাড়ে ৮টার দিকে তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোমকোট বাজারের ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনকে তিনি ও তার লোকজন ব্যাপক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা মো. জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই জসিম উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের মাধ্যমে থানায় যুবদল নেতা আবদুর রহিম ও তার ৬ সহযোগীকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

পরে গভীর রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে।  

আহত জসিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা তার চাঁদাবাজির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সন্দেহজনকভাবে তারা আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় হিন্দু মেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। গত ৬-৭ দিন আগেও সুভাস নামের এক হিন্দু পরিবারের কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।      

চাঁদাবাজির বিষয়ে ঠিকাদার একরাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।  

এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-১০) ও বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আবদুর রহিম আমার অনুসারী ছিল সত্য। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে সে বেপরোয়া। বিষয়টি জানার পর নেতাকর্মীদের বলেছি যে, তার সঙ্গে যেন রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক না রাখেন। তার অপকর্মের দায়ভার আমি নেব না।  

কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আবদুর রহিমের বিষয়টি জানার পর রাতেই তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এই নেতার অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না। 

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে যুবদল নেতা আবদুর রহিম রাত সাড়ে ৮টার দিকে তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা ও গোমকোট বাজারের ব্যবসায়ী মো. জসিম উদ্দিনকে তিনি ও তার লোকজন ব্যাপক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা মো. জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সেদিন রাতেই জসিম উদ্দিন নিজেই বাদী হয়ে তার স্ত্রী নাজমা বেগমের মাধ্যমে থানায় যুবদল নেতা আবদুর রহিম ও তার ৬ সহযোগীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে গভীর রাতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে। আহত জসিম উদ্দিন বলেন, কে বা কারা তার চাঁদাবাজির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেন। এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সন্দেহজনকভাবে তারা আমাকে নির্মমভাবে মারধর করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় হিন্দু মেয়েদের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে হলে তাকে চাঁদা দিতে হয়। গত ৬-৭ দিন আগেও সুভাস নামের এক হিন্দু পরিবারের কাছে থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজির বিষয়ে ঠিকাদার একরাম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য (কুমিল্লা-১০) ও বিএনপি নেতা আব্দুল গফুর ভূঁইয়া বলেন, আবদুর রহিম আমার অনুসারী ছিল সত্য। তবে ৫ আগস্টের পর থেকে সে বেপরোয়া। বিষয়টি জানার পর নেতাকর্মীদের বলেছি যে, তার সঙ্গে যেন রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক না রাখেন। তার অপকর্মের দায়ভার আমি নেব না। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক বলেন, আবদুর রহিমের বিষয়টি জানার পর রাতেই তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত এই নেতার অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নিবে না।

Post a Comment

Previous Post Next Post