Top News

শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে যদি কেউ নিজে লোম পরিষ্কার করতে না পারেন

  শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে যদি কেউ নিজে লোম পরিষ্কার করতে না পারেন


শারীরিক অক্ষমতা বা অসুস্থতার কারণে যদি কেউ নিজে লোম পরিষ্কার করতে না পারেন, তবে ইসলামের বিধান বেশ স্পষ্ট এবং সহজ। ইসলামে কোনো ইবাদত বা আমল এমনভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয় না যা পালনে মানুষের জন্য কষ্টকর হয়।

বিধান:

১. অন্যের সাহায্য গ্রহণ: যদি কোনো ব্যক্তি অসুস্থতা, বার্ধক্য, বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে নিজে এই লোম পরিষ্কার করতে না পারেন, তাহলে তিনি অন্য কারো সাহায্য নিতে পারবেন।

২. কার সাহায্য নেওয়া যাবে:

* স্বামী-স্ত্রী: স্বামী তার স্ত্রীর লোম পরিষ্কার করে দিতে পারবেন এবং স্ত্রী তার স্বামীর লোম পরিষ্কার করে দিতে পারবেন। কারণ, তাদের জন্য একে অপরের লজ্জাস্থান দেখা ও স্পর্শ করা জায়েজ।

* সমলিঙ্গের ব্যক্তি: যদি স্বামী বা স্ত্রী না থাকেন, অথবা তাদের পক্ষে এই কাজ সম্ভব না হয়, তাহলে সমলিঙ্গের বিশ্বস্ত ব্যক্তি (যেমন: মা তার মেয়ের, বা প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে তার বাবার) সাহায্য করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সরাসরি লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো যাবে না এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনের অংশটুকু পরিষ্কার করা হবে।

* ডাক্তার/নার্স: চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যগত প্রয়োজনে ডাক্তার বা নার্সের (যিনি সাধারণত সমলিঙ্গের হয়ে থাকেন) সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

৩. লজ্জাস্থান দেখা: এই বিষয়ে মূলনীতি হলো, প্রয়োজন ছাড়া লজ্জাস্থান দেখা বা অন্যকে দেখানো জায়েজ নয়। তবে, যদি নিজে পরিষ্কার করা সম্ভব না হয় এবং শারীরিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যাবশ্যক হয়, তখন প্রয়োজনের খাতিরে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়। এক্ষেত্রে, যিনি সাহায্য করছেন, তিনি যতটা সম্ভব সরাসরি তাকানো থেকে বিরত থাকবেন এবং গ্লাভস ইত্যাদি ব্যবহার করে কাজ করবেন।

৪. কষ্টকর হলে: যদি লোম পরিষ্কার করা অত্যন্ত কষ্টকর হয় বা এর ফলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তাহলে এই ক্ষেত্রে শরীয়ত শিথিলতা প্রদান করে। প্রয়োজন অনুযায়ী যখন এবং যেভাবে সম্ভব, সেভাবেই পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।

সারসংক্ষেপ:

ইসলাম ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার উপর জোর দেয়, কিন্তু একই সাথে মানুষের শারীরিক সীমাবদ্ধতাগুলোকেও বিবেচনা করে। তাই, যদি কেউ নিজে লোম পরিষ্কার করতে অক্ষম হন, তাহলে শরীয়তের বিধান অনুযায়ী স্বামী/স্ত্রী অথবা সমলিঙ্গের বিশ্বস্ত কারো সাহায্য নিয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জায়েজ। এক্ষেত্রে প্রয়োজনের সীমা অতিক্রম করা যাবে না এবং শালীনতা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।


Countdown Timer

Post a Comment

Previous Post Next Post