হ্যাঁ, লোম উপড়ে ফেলা জায়েজ।
ইসলামে শরীর থেকে অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার করার বিভিন্ন পদ্ধতি অনুমোদিত, এবং লোম উপড়ে ফেলা (যেমন ওয়াক্সিং, প্লাকিং বা টুইজিং) সেগুলোর মধ্যে একটি। এটি শরীয়তসম্মত একটি পদ্ধতি এবং এটি দ্বারা শরীর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন রাখা যায়।
ফিতরাহ (সহজাত প্রকৃতি) এর অংশ হিসেবে লোম পরিষ্কার করা:
নবী মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক উৎসাহিত "ফিতরাহ" এর অংশ হিসেবে যে দশটি বিষয়কে উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে নাভির নিচের লোম এবং বগলের লোম পরিষ্কার করা অন্যতম। যদিও হাদিসে নির্দিষ্টভাবে উপড়ে ফেলার কথা বলা হয়নি, তবে পরিষ্কার করার কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন ফিকাহবিদদের মতে, উপড়ে ফেলা বা কামিয়ে ফেলা উভয় পদ্ধতিই অনুমোদিত। কিছু ফিকাহবিদ নারীর জন্য লোম উপড়ে ফেলা এবং পুরুষের জন্য কামিয়ে ফেলাকে বেশি উত্তম বলে উল্লেখ করেছেন, তবে উভয় পদ্ধতিই উভয় লিঙ্গের জন্য জায়েজ।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
* ৪০ দিনের সময়সীমা: লোম পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৪০ দিনের সময়সীমা অনুসরণ করা উচিত, অর্থাৎ প্রতি ৪০ দিনের মধ্যে একবার পরিষ্কার করে নেওয়া মুস্তাহাব।
* ব্যথা ও কষ্ট: লোম উপড়ে ফেলা যেহেতু কিছুটা ব্যথাযুক্ত হতে পারে, যদি কেউ ব্যথা সহ্য করতে না পারেন বা উপড়ে ফেলা তার জন্য কষ্টকর হয়, তাহলে কামিয়ে ফেলা বা লোমনাশক ক্রিম ব্যবহার করার মতো অন্য জায়েজ পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন।
সুতরাং, লোম উপড়ে ফেলা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েজ এবং ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার একটি অংশ।
Post a Comment