জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকটি নির্দিষ্ট কারণে বাড়তে পারে। জেনে নিন কোন কোন বিষয়গুলো এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে:
১. জেনেটিক কারণ: আপনার পরিবারে যদি জমজ সন্তান জন্ম নেওয়ার ইতিহাস থাকে (বিশেষ করে মায়ের দিক থেকে), তাহলে আপনারও জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এটি একটি প্রধান কারণ।
২. মায়ের বয়স: বেশি বয়সে মা হলে জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সাধারণত ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সের নারীদের ক্ষেত্রে এই সম্ভাবনা বেশি থাকে। এর কারণ হলো, এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে এবং ডিম্বাশয় থেকে একাধিক ডিম্বাণু বের হতে পারে।
৩. ওজন এবং উচ্চতা: স্থূল বা যাদের ওজন বেশি এবং লম্বা নারীদের ক্ষেত্রে জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা বেশি হতে পারে।
৪. গর্ভাবস্থার ইতিহাস: যদি আপনার আগে থেকেই কোনো সন্তান থাকে, বিশেষ করে যদি আপনার একাধিকবার গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে পরবর্তী গর্ভাবস্থায় জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
৫. প্রজনন চিকিৎসা: যারা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (IVF) বা অন্য কোনো প্রজনন চিকিৎসা নেন, তাদের ক্ষেত্রে জমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ এসব চিকিৎসায় একাধিক ভ্রূণ মায়ের গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়।
এই বিষয়গুলো প্রতিটি নারীর ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ নাও করতে পারে। মনে রাখবেন, গর্ভাবস্থা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া এবং এর ফলাফল অনেক সময়ই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে। তবে, এই কারণগুলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে তারা জমজ সন্তান ধারণের সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে।
Post a Comment